নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)। বরিশালবাসীর দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল। ২০১১ সালে এর যাত্রা শুরু হয়েছিলো বরিশাল জিলা স্কুলের একটি অস্থায়ী ভবনে। বর্তমানে এটি কর্ণকাঠীতে স্থায়ী ক্যাম্পাসে তার একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালাচ্ছে। তবে ১০ বছর ছুঁইছুঁই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধ্যাপক আছেন মাত্র একজন, নেই কোনো সহযোগী অধ্যাপক। আবার অনেকে লেকচারার পদে যোগদানের ১১ মাসের মাথায় হয়েছেন সহাকারী অধ্যাপক। আবার অনেকেই যোগদানের সাড়ে পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও শত্রুতার জেরে পাচ্ছেন না সহকারী অধ্যাপকের তকমা। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র অধ্যাপক ড. মুহাসিন উদ্দিন। যিনি একই সঙ্গে রয়েছেন একাধিক পদে। পালন করতে হচ্ছে রেজিষ্টারের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও, যার ফলে ক্লাস নিতে পারছেন না নিয়মিত।
এত কম সংখ্যাক অধ্যাপক নজিরবিহীন উল্লেখ করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) যোগদানকালে দিয়েছিলেন যাবতীয় সমস্যা সমাধানের আশ্বাস। অবশ্য এর জন্য চেষ্টার কমতি রাখছেন না তিনি। তবে করোনো পরিস্থিতি ও ইউজিসির প্রটোকল সব মিলিয়ে ফলাফল অনেকটা শূণ্যের কোটায়। এছাড়া বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ। অভিযোগ আছে, অনেকে স্নাতক ও স্নাতকেত্তরে ২য় শ্রেণিতে (সেকেন্ড ক্লাস) উত্তীর্ণ হয়ে হয়েও হয়েছেন শিক্ষক। ফলে সব মিলিয়ে প্রশ্ন উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার কাঙ্ক্ষিত মান নিয়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, মনে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি হয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য নয় বরং শিক্ষকদের চাকরি করার জন্য। আমরা ক্লাসে বুঝতে পারি বা না পারি সেটা বড় কথা নয়, তিনি শিক্ষক এটাই বড় কথা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বলছে, শীঘ্রই অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসরদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হবে। এতে কিছুটা হলেও কমে আসবে সমস্যা। উল্লেখ্য, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্যমতে বর্তমানে ২৪ টি বিভাগে সক্রিয় শিক্ষের সংখ্যা ১৫৭ জন। যার মধ্যে অধ্যাপক ১ জন, সহযোগী অধ্যাপক নেই, সহকারী অধ্যাপক ৭৬ জন ও লেকচারার ৮০ জন।
Leave a Reply